🍌গঙ্গাসাগর। বিরাট প্রস্তুতি। বিরাট আয়োজন। গঙ্গাসাগরের পূণ্যস্নানের জন্য মুখিয়ে আছেন হাজার হাজার পূণ্যার্থী। সব রাস্তা কার্যত মিলছে গঙ্গাসাগরে। বিরাট জনসমাগম হতে পারে। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির স্নান। গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান। ইতিমধ্য়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীও থাকবেন গঙ্গাসাগরে। এদিকে গঙ্গাসাগরের বিরাট ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তারও একেবারে আঁটোসাটো করা হচ্ছে। কোথাও যেন কোনও ত্রুটি না থাকে।
যারা গঙ্গাসাগর যেতে চান তাঁদের জন্য ব্যবস্থা ঠিক কী থাকছে?
☂পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা যাতে যথাযথ থাকে সেব্যাপারে নজর রাখছেন। সূত্রের খবর, প্রতিদিন ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস থাকবে। ৩২টি ভেসেল থাকবে। ১০০টি লঞ্চ থাকবে। এবার বার্জের সংখ্যাও বাড়ছে। গত বারে ছিল তিনটি। এবার বার্জের সংখ্যা বাড়ছে। একটা বার্জে ২ থেকে আড়াই হাজার মানুষ পার হতে পারবেন। কচুবেড়িয়া ও লট ৮এ ৫টা করে ১০টি জেটি থাকছে। সব মিলিয়ে ২১টি জেটি থাকছে পারাপারের জন্য। ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ও হেলিকপ্টারও থাকছে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসবেন। কেউ যদি বড় ধরনের অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে তাঁদের যাতে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য তৈরি থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স। কচুবেড়িয়া থেকে মেলা প্রাঙ্গন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৫০টি বাস থাকবে। সেই বাসে চেপে যাতায়াত করা যাবে।
♔মুখ্য়মন্ত্রী এর আগেই জানিয়েছিলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য ২২৫০টি সরকারি বাস, ২৫০টি বেসরকারি বাস, ৯টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ, ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে।
স্পেশাল ট্রেনও থাকছে
𝔍অতিরিক্ত ১২টি স্পেশ্যাল ট্রেন চলবে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই ১২টি ইএমইউ মেলা স্পেশালের মধ্যে শিয়ালদা দক্ষিণ থেকে ৩টি, কলকাতা স্টেশন থেকে ২টি, নামখানা থেকে ৫টি, লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে ১টি এবং কাকদ্বীপ থেকে ১টি করে ট্রেন ছাড়বে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদা দক্ষিণ থেকে অতিরিক্ত ৩টি মেলা স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে সকাল ৬.১৫ টা (নামখানার উদ্দেশ্যে), দুপুর ২.৪০ টা (নামখানার উদ্দেশ্যে) এবং বিকেল ৪.২৪ টায় (লক্ষ্মীকান্তপুরের উদ্দেশ্যে)। এগুলি ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। কলকাতা স্টেশন থেকে।
𝓰মেলা স্পেশাল ট্রেনগুলি বালিগঞ্জ, সোনারপুর, বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর, নিশ্চিন্দপুর এবং কাকদ্বীপ স্টেশনে থামবে। কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা মেলা স্পেশাল ট্রেনগুলি কলকাতা ও মাঝেরহাটের মধ্যে সমস্ত স্টেশনে থামবে। পরে সেটি গ্যালপিং হয়ে যাবে। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কাশীনগর হল্ট স্টেশনে কোনও ট্রেন থামবে না।
ট্রেন পথে কীভাবে যাবেন?
ট্রেনে যেতে চাইলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার প্লাটফর্মে যেতে পারেন। সেখান থেকে নামখানা অথবা তার আগে কাকদ্বীপে নামতে পারেন। সেখান থেকে অটো-টোটো বা মোটরভ্য়ানে লট ৮এর ঘাটে। সেখান থেকে নদীর ওপারে কচুবেড়িয়া। সেখান থেকে বাসে গঙ্গাসাগর।
সড়কপথে কীভাবে যাবেন?
🎉সড়কপথে কলকাতার দিক থেকে ডায়মন্ডহারবার রোড ধরে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট বা লট ৮এ যান। এরপর নদী পেরিয়ে কচুবেড়িয়া। সেখান থেকে গঙ্গাসাগরের গাড়ি।