বছরের শেষে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বদলে যাচ্ছে উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যশালী স্টার থিয়েটারের নাম। সন্দেশখালির সভা থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, প্রেক্ষাগৃহের নতুন নামকরণ হতে চলেছে নটী বিনোদিনীর নামে। আরও পড🐲়ুন-সিঁথিতে সিঁদুর! 'প্রেমিক' আর্যর বাহুলগ্না আরাত্রিকা, সঙ্গী পর্দার বর; প্রেম নিয়ে কী জ꧒বাব রাইয়ের?
বিনোদিনী আর স্টার থিয়েটার নাম দু'টি মানুষের মনে সমার্থক। তব▨ে বিনোদিনী এতদিন তাঁর যোগ্য সম্মান পাননি, সেই সম্মান ফিরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৫ সালের শুরু থেকে স্টার থিয়﷽েটার পরিচিতি পাবে ‘বিনোদিনী মঞ্চ’ নামে। ১৮৮৩ সালে স্থাপিত স্টার থিয়েটারের নেপথ্যের কারিগর বিনোদিনী দাসী। তাঁর জীবনীচিত্রকে রুপোলি পর্দায় তুলে ধরছেন পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়। যে ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুক্মিণী মৈত্র। কাকতালীয়ভাবে ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ মুক্তি পাবে রুক্মিণী অভিনীত ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’। তার আগে দিদির এই ঘোষণায় আপ্লুত পর্দার বিনোদিনী রুক্মিণী।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী জানালেন, ‘২৩ তারিখ রিলিজ বিনোদিনীর, আর তার আগে এই খবরটা! দেখার পর থেকে আমি কেঁদেই যাচ্ছি। আমাকে দেব কল করছে, রামদা কল করছে আমি ধরতে পারছি না কান্নার চোটে। কারণ আমার কোনও ভাষা নেই, অনুভূতিটা প্রকাশ করার। আমি মুখ্🧸যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যবে থেকে এই ছবিটার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, আমি এটাই চেয়েছিলাম। প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রী তো চায়, 🔥ছবির জয় হোক, কোথাউ না কোথাউ আমি চেয়েছিলাম আমাদের চেয়েও জরুরি বিনোদিনী দাসীর জেতা।’
কান্না ভেজা গলায় রুক্মিণী বললেন, ‘আমাদের ভারত🏅বর্ষ ২০০ বছর স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন। বিনোদিন💮ী দাসী ১৪০ বছর ধরে লড়ে যাচ্ছেন, নিজের যোগ্য সম্মানের জন্য। আমি দিদির কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলাম, কিন্তু আমি ভাবতে পারিনি উনি এটা করে দেবেন (নাম বদল)। আর যে সময় উনি এটা করলেন। নারীরা যদি নারীদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে জগতটা অন্যরকম হবে। আজ সেটাই হল, আজ বিনোদিনী দাসী তাঁর যোগ্য সম্মান পেলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। আমি যে এই কাহিনির ছোট্ট একটা অংশ, তাতেই খুশি’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি নটী বিনোদিনী দেখাতে চাইবেন রুক্মিণী? নিজেকে খানিক সামলে নিয়ে দেব-প্রিয়া জানালেন,'আমার ইচ্ছে থাকলেই তো হবে না, উনি ব্যস্ত মানুষ। তবে আমি নিশ্চয় চাইব ছবিটা ওঁনাকে দেখা🅷তে, তবে ওঁনার চাওয়াটা বেশি জরুরি। আমি বিনোদিনীর আন-রিলিজড পোস্টারও ওঁনাকে পাঠিয়েছিলাম। উনি খুব খুশি হয়েছিলাম। এবার তো স্টার থিয়েটারের সামনের বোর্ডটা বদলে যাবে, চাইব বিনোদিনী মঞ্চে প্রথম প্রিমিয়ারটা আমার ছবির হোক'।
দেবের কী প্রতিক্রিয়া এই লড়াই জয়ে? রুক্মিণী বললেন, 'এমন অদ্ভূত জিনিস এই ছবি করার সময় আমি অনুভব করেছি, উনি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে থেকে একটা লড়াই লড়েছেন। আমিও কিন্তু লড়েছি ওঁনার বায়োপিক করতে নেমে। বিনোদিনীর যাত্রাটা আমার কাছে সিনেমার অনেক উর্ধে। তাই ওই সময় দেব ফোন করেছে,রাম ফোন করেছে। আমি কথা বলতে পারিনি, কেঁদেই গেছি। হয়ত ওঁনার জয়ে আমি কাঁদছি। এটা খুশ🌄ির কান্না'।
অভিনেত্রী আরও বললেন꧂, ‘নারী হিসাবে একটা বড় লড়াই আজ জিতলাম। বাংলার বুকে ওঁনার সঙ্গে একটা অন্যা⛎য়ই হয়েছিল আমি বলব। এত বড় একটা ভুলকে ঠিক করা। সেটা আজ পূর্ণতা পেল। আজ উনি সুবিচার পেলেন। আমি বিনোদিনীর জীবনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি। তাই এটা আমারও লড়াই ছিল। এরপর ২৩ তারিখে যা হবে সব মাথানত করে মেনে নেব। দিদির কাছে আমি কৃতজ্ঞ’।