🍃 হাইওয়েতে যখন-তখন গবাদি পশুর আনাগোনা একটি বিপজ্জনক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে রাতে এই বিপথগামী পশুদের জন্য চাপে উত্তরপ্রদেশ। অন্ধকার রাস্তা ধরে দ্রুতগতির এগিয়ে আসা ট্রাকগুলো মূলত বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। যাতায়াত এবং পরিবহনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়েগুলো সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
𒐪এই সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এখন বিপথগামী গবাদি পশুর গলা এবং শিং এর চারপাশে উজ্জ্বল টেপের স্ট্রিপগুলি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালালে এই স্ট্রিপগুলি চালকদের সামনে দৃশ্যমান হবে, দুর্ঘটনা এড়ানো সহজ হবে। জানা গিয়েছে, তিনটি প্রধান হাইওয়ে, বেরেলি-হরিদ্বার এনএইচ-৭৪, পিলিভীত-বস্তি এনএইচ-৭৩০, এবং ভিন্ড-লিপুলেখ এনএইচ-৭৩১ জুড়ে মোট ৪৫০ বিপথগামী গবাদি পশুর গলা এবং শিং এর চারপাশে উজ্জ্বল টেপের স্ট্রিপগুলি লাগানো হয়েছে। প্রতি পশু পিছু ৪০০ টাকা করে খরচ হয়েছে এর জন্য।
আরও পড়ুন: (𝄹Financial Frauds: ক্রিসমাসে সান্টার বেশে প্রতারক! বড়দিনের জালিয়াতি নিয়ে HT বাংলায় সাইবার বিশেষজ্ঞ মণিদীপ ভট্টাচার্য)
ꦇএই সমস্যার সমাধানে স্থানীয় গ্রামবাসীরা সমানভাবে সাহায্য করেছেন বলে খবর। খরচাবাবদ টাকাও দিয়েছেন তাঁরা। কারণ যারা পশুদের শরীরে এই ধরনের এই টেপ লাগাচ্ছিলেন, পশুদের শান্ত করার জন্য তাঁদের কাছে যথাযথ সুরক্ষা সরঞ্জাম বা সরঞ্জাম ছিল না। গ্রামবাসীদের সাহায্য না পেলে এই কর্মীরা গুরুতর আহত হতে পারতেন। প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বীরেন্দ্র সিং এ প্রসঙ্গে যদিও বলেছেন, কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের আরও সুরক্ষা দরকার।
💝তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে, পিলিভীতে ১০,০০০ টিরও বেশি বিপথগামী গবাদি পশু ছিল। তাদের মধ্যে অনেককেই মালিকরা ছেড়ে দিয়ে গিয়েছে। রাস্তায় এবং মাঠেই থাকে এই পশুরা। এর দরুণ তাদের বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সমস্যা বাড়ে। এর আগে ২০১৬ সালে বিপথগামী গবাদি পশুদের উপর প্রতিফলিত টেপ লাগানোর একই রকম প্রচেষ্টা করেছিল নেকি কি দেভার নামে একটি সামাজিক গোষ্ঠী৷ কিন্তু নিরাপত্তা সমস্যার কারণে এক বছর পরে সে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ভলেন্টিয়াররা প্রায়শই পশুদের দ্বারা আহত হন। ষাঁড়গুলিকে নিরাপদে মোকাবেলা করার জন্য তাঁদের কাছে সঠিক সরঞ্জামও ছিল না। আবার সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমালস (এসপিসিএ) গবাদি পশুর উপর প্রশান্তির সরঞ্জাম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একমতও নয়, তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে এটি মানব এবং প্রাণী উভয়ের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: (༒মোবাইলের জন্য ফ্রি ইনট্রানেট টিভি, দেশে WIFI রোমিং! পুদুচেরিতে শুরু BSNL-এর দারুণ পরিষেবা)
উত্তরপ্রদেশে গবাদি পশু সংক্রান্ত সমস্যা
🍬জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে, উত্তরপ্রদেশে প্রায় ১.৯ কোটি গবাদি পশু ছিল, যার মধ্যে ১১.৮ লক্ষ বিপথগামী। বিপথগামী গবাদি পশুর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। এই গবাদিপশুদের বেশিরভাগই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও বেশ কিছু এখনও রাস্তায় থাকে।
🅷২০২২ সালে, ইউপি-তে দেশের সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ২২,৫৯৫ জন মারা গিয়েছে। বিপথগামী গবাদি পশুর কারণে কতগুলো দুর্ঘটনা ঘটে তা স্পষ্ট না হলেও, ওই প্রতিফলিত টেপ প্রজেক্ট রাস্তা নিরাপদ রাখার দিকে একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই বটে। তবে এই ছোট পদক্ষেপটি বড় পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।