একদিকে যখন বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের মর্মান্তিক আত্মহত্যা ও তাঁর শেষ ভিডিয়ো নিয়ে চারিদিকে জোর চর্চা চলছে এবং সেই ঘটনার পরও একাধিক একই ধরনের ঘটনা সামনে আসছে, ঠিক তেমনই একটা সময়ে এক্স ম♚াধ্যমে ভাইরাল হল আরও একটি ভিডিয়ো।
তবে, এই ভিডিয়ো কোনও পুরুষের নয়, এক তরুণীর। তাঁর নাম - প্রত্যুষা চাল্লা। আইআইএম আহমেদাবাদ থেকে স্নাতক হওয়া এই তরুণী যে 'কাহিনি' সকলের সঙ্গে শেয়ার করছেন, তা এক কথায় ভয়ঙ্🀅কর!
তিনি ꧒জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর পরিবারের সদস্যদের চরম এক চরম দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে! যার নেপথ্যে রয়েছেন, প্রত্যুষার বৌদি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
প্রত্যুষার সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্য়েই সোশাল মিডিয়ায় ২৬ লক্ষেরও বেশি 'ভিউ' পেয়েছে! যে ভিডিয়ো🍌য় প্রত্যুষা জানিয়েছেন, কীভাবে একজন পুরুষ ও তাঁর আপনজনেরা গার্হস♎্থ্য হিংসার শিকার হতে পারেন!
প্রত্যুষা জানান, তাঁর দাদা হায়দরাবাদ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক সহকারী অধ্য়াপক। ২০১৯ সালে তিꦗনি বিয়ে করেন র🦩াজামান্দ্রি এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীকে। সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র ১০ দিন!
সংশ্লিষ্🐻ট ভাইরাল ভিডিয়োয় প্রত্যুষাকে বলতে শোনা যায়, 'সেই মহিলা আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন। নোংরা ভাষা ব্যবহার কর🍃তেন। এবং আমার দাদাকে তাঁরই নিজের শোওয়ার ঘরে ঢুকতে দিতেন না! উপরন্তু, মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিতেন।...'
'...যা ঘটেছিল, সেটা একেবারেই একটি তোলা আদায়ের ঘটনা ছিল। যার নেপথ্যে ছিলেন আমার বৌদি, তাঁর বোন, তাঁর ভাই এবং তাঁর প্রেমিক! আমার বไৌদির দিদি তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গেও ঠিক একই কা🔯ণ্ড ঘটিয়েছিলেন।...'
'...বিয়🍸ে মাত্র ১০ দিন পরই আমার বৌদি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। এবং আমাদের সকলের বিরুদ্ধে তিনি বধূ নির্যাতনে মামলা রুজু করেন। আমরা সেই অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এমনকী, সেই ঘটনার কোনও তদন্তও হয়নি।'
প্রত্যুষা আরও জানিয়েছেন, সেই ঘটনার পর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও মামলার শুনানি শুর🦩ু হয়নি। এর ফলে তাঁর বাবা-মা লাগাতার মানসিক অশান্তির মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। ক্রমে তাঁদের শারীরিক অসুস্থতাও বাড়ছে।
আর এই একই কারণে প্রত্যুষা ব্যক্তিগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি একজন মেধাবী ছাত্রী পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। এমনকী, ইতিমধ্য়েই একটি সংস্থায় দায়িত্ব সহকারে গুরু🀅ত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন।
কিন্তু, এখন আর তিনি কোনও চাকরি পাচ্ছেন না। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ফলত, কোনও সংস্থাই তাঁ🔯কে চাকরি দিচ্ছে না।
প্রত্যুষার এই ভিডিয়ো দেখে নেট নাগরিকদের অধিকাংশই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ভারতীয় সংস্ক🐎ৃতি পালনের নামে অনেকেই যে দেখে-শুনে বিয়ে করেন, তাতে যে অনেক গলদ রয়েছে, সেই বিষয়টি অনেকেই তুলে ধরেন। অনেকে আবার জানান, তাঁরাও এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন।