সদ্🅘য আফগানিস্তানের পাকতিকায় পাকিস্তানি এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত সরগরম। জানা যায়, পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইকের পর তালিবান শাসিত আফগানিস্তানও পাকিস্তানে হামলা চালায় বেশ কিছু ছাউনি লক্ষ্য করে। এরই মাঝে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলল দিল্লি। ভারতে﷽র দুই প্রতিবেশী, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলা সংঘাত নিয়ে ইসলামাবাদের দিকেই তীরের নিশানা তাক করল দিল্লি।
আফগানিস্তানের বুকে পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে ঘটনার বেশ কিছু সপ্তাহ পর মুখ খুলল দিল্ল। পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইকে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার নিন্দা করেছে ভারত। এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন,'আমরা কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি, আফগানিস্তানের মহিলা ও শিশু সহ নাগরিকদের ওপর এয়ারস্ট্রাইকের। যার ফলে বহু মূল্যবান প্রাণ শেষ হয়ে গিয়েছে।' একইসঙ্গে তিনি পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে বলেন,'আমরা সাফভাবে নিরীহদের প্রতি যেকোনও হামলার নিন্দা করছꦺি। এটা পাকিস্🗹তানের পুরনো অভ্যাস যে নিজেদের অভ্য়ন্তরীণ ব্যর্থতার দায় তারা প্রতিবেশীদের উপর চাপিয়ে দেয়। আমরা এই মর্মে আফগানিস্তানের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়াকেও নজরে রেখেছি।'
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আফগানিস্তানের পাকতিকায় পাকি𓃲স্তানের এয়ারস্ট্রাইক হয়। সেখানের বারমাল জেলায় এই হামলা চলে। ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর আসে। মৃতদের মধ্যে বহু মহিলা ও শিশু ছিল। একই পরিবারের ৫ জনেরও মৃত্যু হয়েছে। এই এয়ারস্ট্রাইকে আফগানিস্তানের ৭ টি গ্রাম ক্ষতির মুখে পড়ে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় লামানের। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও আফগানিস্তানের খোস্ত প্রভিন্সের মাঝে যে সীমান্ত আছে, সেই সীমান্ত বরাবর এই সংঘাত ঘিরে পরিস্থিতি তেতে ওঠে। পাকিস্তানের দাবি এই ঘটনায় তারা ২০ থেকে ২৫ জন জঙ্গি নিকেশ করেছে। এদিকে, জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি হামলায় বারমালের মুর্গ বাজার গ্রাম প্রায় ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘাতের ক্ষেত্রে পাকিস্তানি তালিবান নামের জঙ্গি গোষ্ঠী যাকে তেহরিক এ তালিবান পাকিস্তান নামে জানা যায়, তা বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। এছাড়াও সীমান্তে পাকিস্তানের দাদাগিরি ও ডুরান্ড লাইনকে সীমান্ত হিসাবে আফগানিস্তানের মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বেসুরো বার্তা রয়েছে কাবুল থেকে। এই সমস্ত ইস্যুই দুই দেশের সংঘাতে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে খবর।