একটি নয়, একাধিক দাবানলের দানবীয় আগুন ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলাসের বিভিন্ন জায়গায়। উল্লেখ্য, এই লস অ্যাঞ্জেলাস এলাকা আমেরিকার অন্যতম অভিজাত এলাকা বলে প্রসিদ্ধ। বহু হলিউড সেলেবের বাসভূমি এই জায়গা। তবে দ্য গার্ডিয়ান-র রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই দাবানলের জেরে লস অ্যাঞ্জেলাসের বাড়ি ছেড়ে বহু হলিউড সেলেব রাতারাতি চলে গিয়েছেন। 🔯বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, এলাকার ৩০ হাজার বাড়ির বাসিন্দাদের ঘর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেখানের ‘ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস’র তরফে বলা হয়েছে, বাড়ি খালি করার নির্দেশকে যেন গুরুত্বের সঙ্গে নেন বাসিন্দারা। এলাকায় আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শক্তিশালী স্যান্টা অ্যানা বায়ুর প্রভাবে ক্রমাগত এই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে লস অ্যাঞ্জেলাসের নানান প্রান্তে। তথ্য বলছে, এটি উষ্ণ ও ঝোড়ো হাওয়া, যা বয়ে থাকে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রান্তিক দিক থেকে। আর তা যায় উপকূলের দিকে। এদিকে, এই হাওয়ার চোটে ছড়িয়ে পড়া আগুন একের পর এক এলাকা গ্রাস করছে। রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে, মানুষ নিজের গাড়ি, বাড়ি ছেড়ে গিয়েছেন। গাড়িগুলির ইঞ্জিন, হেডলাইট আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে। ঘর ছাড়া মানুষদের ভিড়ে ট্রাফিক বাড়ছে রাস্তাতেও। এলাকায় পেসিফিক প্যালিসেডসেও এর প্রভাব রয়েছে। এলাকাটি মালিব🦩ু এলাকার কাছে। এই এলাকা অন্যতম অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত। এখানে বহু সেলেবের বাড়ি বলে জানা যায়। ‘স্টার ওয়ার্স’ ছবিতে লুক স্কাইওয়াকারের চরিত্র♍ে অভিনয় করা মার্ক হ্যামিল তিনি মালিবু ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। রিয়েলিটি টিভি তারকা হাইডি মন্টাগ এবং তাঁর স্বামী স্পেন্সার প্র্যাট আগুনে তাদের বাড়ি খুইয়েছেন। বাড়ি চোখের নিমেষে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা ভিডিয়ো বন্দি করেছেন প্র্যাট। তাঁর বোন স্টেফানিও জানিয়েছেন, প্র্যাটদের বাড়ি আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। হলিউড সেলেব টম হ্যাঙ্কসের ছেলে চেট হ্যাঙ্কস ইনস্টাগ্রামে লেখেন,'যে এলাকায় আমি বড় হয়েছি, সেই এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।'
এপর্যন্ত যা খবর, তাতে আগুনের কবজায় গিয়েছে ৪.৬ একর মাইল খবর। লস অ্যাঞ্জেলাসের আকাশ বাতাস ছেয়েছে আগুনে। ৩০ হাজার মানুষকে ঘর ছেড়ে নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে,ಌ পু꧒ড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্যালিস্যাডস চার্টার স্কুলের ভবন। এদিকে আবহাওয়া আর অগ্নিকাণ্ডের জেরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ছবির প্রিমিয়ার বাতিল হয়েছে। এদিকে, বাড়ি ছাড়ার বিষয়ে যে নির্দেশ এসেছে কর্তৃপক্ষের তরফে, তার আওতায় রয়েছে নাসার ল্যাবও। সব মিলিয়ে ক্রমেই ঘোরতর হচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলাসের পরিস্থিতি।