২০২৪ প্রায় শেষ! নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হুজুগে বাঙালি। বর্ষবরণের জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে। দিকে দিকে চলছে অনুষ্ঠান। সেই সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখ মিলছে বড় পর্দা ও ছোট পর্দার তারকাদেরও। এবার সেই নিয়ে খোঁচা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। প্রশ্ন তুললেন দলীয় সহকর্মীদের নিয়েও। 🦩আরও পড়ুন-‘কেঁদেই যাচ্ছি, দিদিকে বলেছিলাম ইচ্ছের কথা’, স্টার থিয়েটারের নাম বদল! আপ্লুত পর্দার ‘বিনোদিনী’ রুক্মিণী
সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল🌞 লেখেন, ‘মঞ্চে কিছু শিল্পী, এমনকি ডাক্তারকেও দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ওই তিনমাস (আর জি করের ঘটনার সময়) চূড়ান্তভাবে মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন এঁদের ডাকা হবে?’
🤪 অগস্ট মাসে আরজি কর হাসপাতালে অন-ডিউটিতে থাকা তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে রাত দখল থেকে ধর্না, সরকারকে অস্বস্তি ফেলে নানা কর্মসূচী নিয়েছিল নাগরিক সমাজ। সেই আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকেছেন টলিপাড়ার একটা বড় অংশ। বছর শেষে সেই আন্দোলনের রেশ স্তিমিত। নিজের কাজের জগতে ব্যস্ত নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকারা। এবার সেই শিল্পীদেরই নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী লিখেছেন কুণাল ঘোষ?
ไ'আর জি করের ঘটনা অতি জঘন্য। দোষীর ফাঁসির হোক। মুখ্যমন্ত্রী, দল, আমরা সবাই খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদী। কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল কয়েক ঘন্টার মধ্যে। সিবিআই তদন্ত মান্যতা দিয়েছে। বিচার চলছে। সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত ও বিচারে অসঙ্গতি পাননি। সব পক্ষের আইনজীবী সেখানে ছিলেন।
꧑ কিন্তু কিছু বাম, অতি বাম, অন্ধ তৃণমূল বিরোধী এই সময় মিথ্যা, কুৎসা, ফেক অডিও, রাজনৈতিক নাটকবাজি করে মানুষের আবেগকে বিভ্রান্ত করে, একাংশের মিডিয়ার সাহায্যে, নিজেদের ধান্দায়। জঘন্য ভাষা, রোজ নাটক, সরকারের ইস্তফার দাবি, বাংলাদেশের সরকার বদলের সঙ্গে তুলনা চলছিল।
🌄 এই প্রবল মিথ্যার ঝড় এবং আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী, আমরা দু-চারজন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সদস্যরা পাল্টা যুক্তি, ন্যায্য কথা ও জবাব নিয়ে সাধ্যমত লড়ে গিয়েছি। তাতে আমাদের ভয়ঙ্কর ব্যক্তি আক্রমণ ও বহু চোরাস্রোত সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু বাস্তব হল, আমাদের দলের অনেক নেতা, নেত্রী, জনপ্রতিনিধি তখন নীরবে বসে জল মাপছিলেন। দলের সমর্থনে বা কুৎসার বিরুদ্ধে তাঁদের মুখে একটি কথা, এমনকি পোস্টও দেখা যায়নি। ইস্যুর ঝড়টা একটু কমে এলে এঁরা আবার জেগে উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে আসেন। তা আসুন। কিন্তু সমস্যা হল, এখন তাঁদের অনেকের মঞ্চে কিছু শিল্পী, এমনকি ডাক্তারকেও দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ওই তিনমাস চূড়ান্তভাবে মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার বিরোধিতা করেছেন। কেউ রাস্তায়, কেউ টিভিতে। যে ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে শামিল, কোনো বিবৃতিও ছিল না পাল্টা, তাঁরা নিজেদের তৃণমূল দেখাতে মরিয়া। যে শিল্পী 'চটিচাটা' বলে সরকারপন্থীদের আক্রমণ করতেন, এখন শীতের জলসার পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে তাঁর ছবি।
আমার বক্তব্য, এটা গণতান্ত্রিক রাজ্য। যে কেউ পারফরম করতে পারেন। কোনো বাধা নেই। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন এঁদের ডাকা হবে? আসলে যাঁরা আগস্টের পর থেকে লড়াইটাতে ছিলেন না, সেই ভয়ংকর আক্রমণের মুখে পড়েননি, জল মাপছিলেন, তাঁরা বোধহয় এই যন্ত্রণাটা বুঝতে পারছেন না। তিনমাস আগে 'চটিচাটা', সরকার ফেলে দেবো, বাংলাদেশের মত পালাবে বলা শিল্পীদের আর যাই হোক, এখন তৃণমূল নেতাদের বিনোদনের মঞ্চে ডাকা যেতে পারে না। ওঁরা ডাকলেই আসবেন। কিন্তু ওই কজনকে তৃণমূলౠ কর্মীরা বয়কট করুন। এবার পাড়ার জলসায় ওই কজনের কোনো জায়গা থাকা উচিত না। তৃণমূলপন্থীদের অনুষ্ঠানে তো নয়ই।'